প্রকাশিত: ০২/০৫/২০২২ ২:০৩ পিএম


বিশ্বব্যাপী শরণার্থী শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি ও মানবিক চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করছে ‘ক্লাবু’ নামে একটি স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাবুর এমন উদ্যোগে, কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা শিশুদের খেলার মাঠে ফিরিয়ে আনতে পাশে দাঁড়িয়েছে পিএসজি। ইতোমধ্যেই কক্সবাজারের উখিয়ায় ভ্রাম্যমাণ স্পোর্টস লাইব্রেরি যাত্রা শুরু করেছে রোহিঙ্গা শিশুদের জার্সি ও খেলাধুলার সামগ্রী দেওয়ার জন্য। পিএসজির এমন উদ্যোগে উচ্ছ্বসিত শিশুরা। এ উদ্যোগ এগিয়ে যেতে

মিয়ানমার সরকারের দমন-পীড়ন থেকে বাঁচতে ঘর ছাড়তে হয় আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে। যারা পরবর্তীতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নেয় বাংলাদেশে। মিয়ানমার থেকে আগত ৮ লাখেরও বেশি মানুষ বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থান করছে। যাদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু। এ ধরনের শিশুদের জীবন মানের পরিস্থিতি একেবারেই অনুন্নত।

২০১৯ সালে কেনিয়ার কালোবেয়িতে একটি ক্লাব হাউস গঠন করা হয়। যার মূল লক্ষ্য হিসেবে প্রাধান্য পায়, শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত শিশুদের খেলাধুলার মাধ্যমে মানবিক চেতনা পুনরুজ্জীবিত করা। অনুন্নত জীবন যাপনের ফলে থমকে থাকা জীবনযাত্রাকে গতিশীল করতে কাজ করছে ক্লাবু।

ক্লাবুর এমন উদ্যোগে শরণার্থী শিশুদের খেলাধুলায় আগ্রহী করে তাদের মেধা বিকাশের পথ সুগম করে দেওয়াই মূল উদ্দেশ্য। ইতোমধ্যেই ১০ হাজার শরণার্থী শিশুদের খেলাধুলার সুযোগ করে দিয়েছে ক্লাবু। আগামী দশকের মধ্যে কয়েক লাখ শরণার্থী শিশুদের খেলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে চায় ক্লাবু। তাদের এ উদ্যোগে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে ক্লাব ফুটবলের অন্যতম সেরা ক্লাব পিএসজি।

ইউএনএইচসিআর ও মানবাধিকার সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে এগিয়ে যাওয়া ক্লাবু কার্যক্রমে শুরু থেকেই সহযোগিতা করছে পিএসজি। বাংলাদেশে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিশুদের মানসিক দৃঢ়তা বাড়ানো ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে পিএসজির এনডাওমেন্ট ফান্ডের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ স্পোর্টস লাইব্রেরি তৈরি করেছে ক্লাবু। যার মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত শিশুদের খেলাধুলা সামগ্রী দেওয়া হয়ে থাকে।

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিশুদের ইতোমধ্যেই পিএসজির সহযোগিতায় দেওয়া হয়েছে জার্সি, ফুটবল থেকে শুরু করে বিভিন্ন খেলাধুলা সামগ্রী। প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে রোহিঙ্গা শিশুদের ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, বাস্কেটবল খেলায়। উখিয়ার বিভিন্ন স্কুল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হচ্ছে এসব সামগ্রী। এতে উচ্ছ্বসিত হয়ে খেলার প্রতি আগ্রহী হচ্ছে শিশুরা। ক্লাবুর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে কেনা জার্সিগুলোর অর্থও জমা পড়ে রোহিঙ্গা শিশুদের স্পোর্টিং ক্লাব তৈরির তহবিলে।

পিএসজির ও ক্লাবুর এমন উদ্যোগ রোহিঙ্গা শিশুদের ক্রীড়া ক্ষেত্রেও এগিয়ে নেবে, এমন প্রত্যাশাই সবার

পাঠকের মতামত

দেশের বাইরে উখিয়ার রিপাসহ দুই ফুটবলারকে খেলতে পাঠাবে না বাফুফে

ভুটানের ঘরোয়া নারী ফুটবল লিগের দল ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন বাংলাদেশের দুই ফুটবলার মাসুরা ...

টেকনাফকে মাদকমুক্ত করতে খেলাধুলাই একমাত্র হাতিয়ার-জেলা প্রশাসক

অনুর্ধ-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট কক্সবাজার জেলা পর্যায়ের চ্যাম্পিয়ন টেকনাফ উপজেলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে ...

আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম

আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। শুক্রবার ...

ঝিমিয়ে পড়েছে কক্সবাজারের ক্রীড়াঙ্গন

কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ট রুহুল আমিন স্টেডিয়ামজুড়ে সুনশান নিরবতা। গ্যালারিতে নেই দর্শকদের উচ্ছ্বাস। চেয়ারগুলোতে জমেছে ধুলাবালি। সবুজের ...